লেখক আহবান

সম্মানিত সুধী,

“আর্টিকেলস” এ আমন্ত্রণ পাওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন। আর্টিকেলস.কম.বিডি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী জীবন ঘঠিত একটি নিয়মিত ব্লগ বা ম্যাগাজিন।

ভূমিকাঃ সৃষ্টির শুরু থেকেই জ্ঞানের প্রতি মানব জাতির একটি অসীম তৃষ্ণা কাজ করে আসছে, যে তৃষ্ণার কোনো শেষ নেই। জ্ঞানের সেই তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ছুটে চলেছে নিরন্তর। কি সাগর তলে, কি মাটির গভীরে আর কি আকাশ সীমায় সবখানে মানুষ বিচরণ করেছে শুধুমাত্র জ্ঞানের তৃষ্ণায়। অন্যভাবে বলা যায়, জ্ঞানই একমাত্র উদ্দেশ্য যার জন্য মানবজাতির পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে। একজন ব্যক্তিকে জানি, চিকিৎসকের হিসাব মতে যার মৃত্যুর মাত্র এক দু’মাস বাকি। তিনি জানালেন, তার একটি স্বপ্ন ছিল ক্যালকুলাস সম্বন্ধে জানা, মৃত্যুর পূর্বে সে ক্যালকুলাস শিখে যেতে চায়। তার এই ইচ্ছার দ্বারা আমরা কিসের ইঙ্গিত পাই? নিশ্চয় মানব মনের সূক্ষ্ম একটি জায়গায় জ্ঞানের এমন একটি তৃষ্ণা লুকিয়ে আছে যে, পৃথিবীতে অর্জিত জ্ঞান মৃত্যু পরবর্তী কোথাও কাজে লাগতে পারে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, ‘আদম’ এর পৃথিবী নামক পাঠশালায় আসার পূর্বে পরীক্ষা ছিল মূলত জ্ঞান ধারণ ক্ষমতার। অর্থাৎ আদমকে যা শিক্ষা দেয়া হয়েছে তা সে ধারণ করতে পারে কিনা এবং পৃথিবীতে যেসব জ্ঞান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তা সে ধারন করতে সক্ষম কি না। তার দ্বারাও আমরা বুঝতে পারি পৃথিবী একটি জ্ঞানার্জনের জায়গা। আর্টিকেলস এর উদ্দেশ্য, মানব মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা জ্ঞানের সেই তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করা। অন্যভাবে বলা যায়, আর্টিকেলস এর প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানব মনে উদিত হওয়া যাবতীয় প্রশ্নকে ধ্বংস করা। যাতে মানব মন নতুন প্রশ্নের পেছনে ছুটতে পারে।

আহবানঃ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জ্ঞানার্জনের পদ্ধতি প্রায় একই রকম। কিন্তু জ্ঞানের ধারণ ক্ষমতা ও জ্ঞান ভিন্ন ভিন্ন। জ্ঞানের দিক থেকে মানুষ অনন্য (UNIQUE)। কি শিক্ষিত-অশিক্ষিত, কি ধনী-গরিব আর কি রাজা-প্রজা সবারই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞান ও উপলব্ধি। প্রতিনিয়ত যত মানুষ পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে, তাদের প্রত্যেকেই অনন্য এমন কিছু জানে, যা আর কেউ জানে না। এটি ধ্রুব সত্য। সেই অনন্য জ্ঞান এমন হতে পারে যা একটি রাষ্ট্র, সমাজব্যবস্থা কিংবা কোন জাতিকে পর্যন্ত পরিবর্তন করে দিতে পারে। এজন্য প্রতিটি মানবের উচিৎ মৃত্যুর পূর্বে তার অর্জিত জ্ঞান ও উপলব্ধি অন্য কারও জন্য রেখে যাওয়া। আজকের পৃথিবীর যত জ্ঞান-বিজ্ঞান, আবিস্কার-উদ্ভাবন সবকিছু এসেছে কারো না কারো রেখে যাওয়া জ্ঞান থেকে। তবে এটিও ধ্রুব সত্য যে, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই মৃত্যুর পূর্বে তার জ্ঞান ও উপলব্ধি অন্যদেরকে দিয়ে যেতে পারে না। এজন্য কেউ যখন মারা যায়, তখন আমরা খোঁজ নিয়ে দেখি তার পরিচিতজনদের কাছে সে কিছু রেখে গেছে কি না। অর্থাৎ তার জীবন-যাপন ও স্বভাব কেমন ছিল তার কাছ থেকে শোনা যে কোন কথা সবকিছু। এভাবে আমরা বহু জ্ঞান আহরন করেছিও বটে। তবে সেটা যে মারা যায় তার ইচ্ছায় নয় বলে আমরা পুরোপুরি জ্ঞানটুকু পাই না। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত মৃত্যুর আগে মানব জাতির জন্য সত্য, জ্ঞান ও উপলব্ধি কোথাও না কোথাও রেখে যাওয়া। তার জন্য প্রধান উপায় হলো লেখালেখি। পূর্বপুরুষদের যত জ্ঞান আমরা পেয়েছি তার শিংহভাগ তাদের লিখিত রচনা থেকে এসেছে।

আমরা জানি, আপনার মধ্যেও লুকিয়ে আছে এমন কিছু জ্ঞান, উপলব্দি কিংবা মানব জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোন সমাধান। আমরা কখনও মনে করি না, শুধুমাত্র বিশেষ শ্রেণীর কিছু ব্যক্তি, যাদেরকে আমরা লেখক হিসেবে চিনি তারাই মানব জাতির সমাধান এনে দিবে। আমরা মনে করি আপনার কাছ থেকেও আসতে পারে জগত বিখ্যাত যে কোন সমাধান। “আর্টিকেলস” এর সাহায্যে আমরা আপনার কথা পৃথিবীর মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই। মনে রাখবেন, আমরা প্রত্যেকেই আমাদের পূর্বপুরুষ যারা আমাদের জন্য মহামূল্যবান জ্ঞান রেখে গেছেন তাদের কাছে ঋনী। আমাদেরও উচিত আমাদের অর্জিত জ্ঞান ও উপলব্ধি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া। হাদিস গ্রন্থে এসেছে, জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র।

”আর্টিকেলস” এ রয়েছে মানব জীবনে জ্ঞানের প্রায় সবকটি শাখা প্রশাখার শিরোনাম। আপনি যে কোন শাখায় আপনার মূল্যবান অবদান রাখবেন এটাই আমাদের একান্ত প্রত্যাশা। ছোট হোক কিংবা বড়, আপনার প্রতিটি প্রবন্ধ, রচনা, গল্প, ইতিহাস, সাহিত্য, কবিতা, মতামত, অভিজ্ঞতা, প্রতিবাদ, উপদেশ, অন্বেষন, সমাধান, চিন্তা, উদ্ভাবন, আবিষ্কার ইত্যাদি আমরা নিয়মিত পেতে চাই। আপনার বক্তব্যই আর্টিকেলস এর একমাত্র প্রেরণা। আসুন, আমাদের এই যাত্রায় আপনিও অংশগ্রহণ করুন এবং সবাই মিলে পুরো পৃথিবীটাকে পাল্টে দেই।

অনুপ্রেরণায়- সম্পাদক, আর্টিকেলস.কম.বিডি।