খাবার কেন রোগের প্রধান কারণ?
কী খাবেন, কী খাবেন না?

সময়: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ

লেখক:

উৎস: ফেসবুক ওয়াল থেকে

টপিক: , , , , ,

ট্যাগ: 

লেখক প্রোফাইল 

বড় করুন

ছোট করুন

খাবার কেন রোগের প্রধান কারণ? কী খাবেন, কী খাবেন না?

তবে প্রথমেই বলে নিতে চাই যে, বিশেষ করে যে সব বড় রোগির কিছু কিছু খাদ্য সহ্য হয় না তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার শুরুতেই বলি – যা খেলে আপনার বেশি সমস্যা হয় কয়েক দিন পর তাই বেশি খাবেন। অন্তত খেয়ে নিজের অবস্থাটা যাচাই করবেন।

এই কথা শুনে যারা স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি তারা হেসে ফেলেন। বিশ্বাস করতে কি মন চায়?

এবং এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক সময় লাগলেও, কিছুকাল পর রোগির কাছেই এই সত্যটি প্রমাণিত হয়ে যায় যে তাঁর জন্য কোনো খাবারই নিষিদ্ধ নয়, তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে তাঁর ‘রোগগ্রস্ত শরীরের’ জন্য তা নিষিদ্ধ ছিল।

আল্লাহ বলেছেন – তোমরা সব ভালো জিনিস খাও, তবে সীমা লংঘণ করো না।

এখানেই আসল কথা – সীমা!

তাই বলে এখানে শুধু খাবারের সীমা বুঝলে হবে না! ব্যক্তি-ভেদে খাবারের সঠিক পরিমাণ তো একটা রয়েছেই, কিন্তু ব্যক্তির খাবার-বহির্ভূত আচরণ ও মানসিকতাও একটা ফ্যাক্টর। আল্লাহ বলেছেন – আমি ইহুদি জাতীর আচরণের কারণে তাদের জন্য পশুর পিঠের চর্বি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলাম।

যা হোক, কোনো জ্ঞানকে কমন সেন্সে রূপান্তরিত না করতে পারা পর্যন্ত তা আমাদের অন্তত দৈনন্দিন জীবনে কোনো কাজেই লাগে না। তাই সহজে একটু ভেবে দেখা যাক আমরা কেন খাই।

আমরা স্বাদের জন্য খাই না। স্বাদ আমাদেরকে খেতে সাহায্য করে। রুচি-শক্তি-হীন রোগি ভালো করেই জানে স্বাদ আহারের ক্ষেত্রে কত বড় একটা উপকরণ।

স্বাদের জন্য মানুষ খাবে পরকালে। কারণ সেখানে আবশ্যিক ক্ষুধা-তৃষ্ণা থাকবে না। মানুষ খাবে আনন্দে।

বরং আমরা পার্থিব জগতে খাই কেবল প্রয়োজন মেটাবার জন্য। ফলে আপনি দেহটাকে কতোটা খাটাচ্ছেন সে অনুযায়ী খাবারের মাধ্যমে তাকে মজুরি দেবেন।

খুব বেশি কায়িক পরিশ্রম না থাকলে দেহকে খাবার কম দিতে হবে। কারণ আপনি খান না, দেহ খায়।

এখন, ধরা যাক আপনি পরিশ্রম ও করেন না, আবার বেশি ভারি ভারি খাবার দেন। তখন কী হবে? তখন, হজম শক্তি ভালো থাকলে দেহ সব ই গ্রহণ করবে কিন্তু খরচ করতে না পেরে তার বর্তমান অবস্থা থেকে উদ্ভূত নিয়ম অনুযায়ী সে খাবারের বাড়তি অংশ জমা করে রাখবে লিভারে, চর্বি আকারে। এবং এই ঘটনা বহুদূর গড়ায়। হার্টে জমা হয়। রক্ত বয়ে নিয়ে বেড়ায়। … কী করবে তারা? দেহ তো আপনার দাস। তাকে আপনি একটা জিনিস দেবেন আর সে তা বয়ে নিয়ে বেড়াবে না, তা কী করে হয়? অন্তত সে তাঁর সাধ্য মতো চেষ্টা করবে।

আর আপনার যদি হজম শক্তি ই ভালো না থাকে, তাহলে সেটা বরং আপনার জন্য কিছুটা ভালো হবে। আপনি ভুল করে দেহকে বেশি দিয়ে ফেললেও দেহ প্রথম দরোজা পার করেই তা গোডাউনে নিতে পারবে না। ফলে কিছু জমতে পারবে না।

তবে নিজের ক্ষতি না করে পেট আপনার দেহটাকে এভাবে বাঁচাতে পারবে না। অর্থাৎ বাড়তি খাবার না নেয়ার অবস্থায় যেতে হলে তাকে প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস না নিতে পারার অভিশাপটাও মাথা পেতে নিতে হবে।

আর এ কারণে দেহের বর্তমান ভাষা টা বুঝতে হবে। এবং দেহটাকে মেরামত করার ফিলোসফির সাথে সাথে সঠিক দ্রব্য দিয়ে নির্মিত ওষুধ ও খেতে হবে।

স্রষ্টার ওপর ভরসা রেখে একটু ধৈর্য ধরতে পারলে এবং সময় থাকতে চিকিৎসা নিলে সব রোগই নিরাময় করা যায়।

দেহকে রাখতে হবে মধ্যম পন্থায়, কারণ জীবন রয়েছে দুই বিপরীতের মাঝখানে।

Source : ShefaKanon

মন্তব্য লিখুন

একই বিভাগে আরও

আত্মজ্ঞানের ভূমিকা – ২

আত্মজ্ঞানের ভূমিকা – ১

আল-কোরআনের অজানা রহস্য – ২

আল-কুরআন এর অজানা রহস্য – ১

ভালোবাসার শানে নুজুল

আরও পড়ুন

ফেব্রুয়ারি ২৯ ২০২৪

আত্মজ্ঞানের ভূমিকা – ২

ফেব্রুয়ারি ২৯ ২০২৪

আত্মজ্ঞানের ভূমিকা – ১

ফেব্রুয়ারি ২৭ ২০২৪

Instant Writing Techniques 1

ফেব্রুয়ারি ২২ ২০২৪

আল-কোরআনের অজানা রহস্য – ২

ফেব্রুয়ারি ১৫ ২০২৪

আল-কুরআন এর অজানা রহস্য – ১