নারীর প্রকৃতি

সময়: ২৯ জুলাই ২০১৮, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ

লেখক:

উৎস: রচনা।

টপিক: ,

ট্যাগ: ,

লেখক প্রোফাইল 

বড় করুন

ছোট করুন

=================================

……………….ডেডিকেটেড টু এ.এফ.হীরা।……………..

=================================


কোন নির্দিষ্ট নারী কেমন তা হয়ত আমি বলতে পারবনা, তবে বলতে পারি পৃথিবীর সব নারীরাই পরাধীন। হয়ত নারী জাতির সৃষ্টি ফর্মুলাতে পরাধীনতার উপাদান দেয়া আছে। নারী সবসময় কারো না কারো অধীন। কখনো বাবা মা’র, কখনো স্বামী’র, কখনো বয় ফ্রেন্ডের। নারীর স্বাধীনতার রহস্য লুকিয়ে আছে পরাধীনতার মধ্যেই। গুরুজী বলেছেন নারী একজন পুরুষের কাছে আশ্রয় চায়…… আশ্রয় মানে কি অন্যের অধীন হওয়া নয়? নারীর পরাধীনতা কেড়ে নিলে সে আত্মহত্যাও করতে পারে। কারও অধীন হতে না পারা তার জন্য বড় অমঙ্গলজনক ও ব্যর্থতা। নারী সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস করে নিজেকে, তাই সে বিশ্বস্থ কারও অধীনে থাকতে চায়। সে চায় না যে, তার কোন আচরণ অন্য কেউ পছন্দ করুক;বরং সে চায় অন্যের পছন্দনীয় আচরণ সে করতে। নারীর কোন পছন্দ নেই… বরং সে যার অধীনে থাকে তার পছন্দ নিয়েই সে ব্যস্ত।


প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ল’তে অধ্যায়ন রত এক ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম সে ল’তে পড়ে কেন? সে বলল- “আমার পছন্দের সাবজেক্ট ইংলিশ কিন্তু আমার বাবা’র ইচ্ছা তিনি আমাকে ল’ পড়াবেন, তাই আমি ল’তে এডমিশন নিয়েছি”। অথচ কোন ছেলে’কে তার বাবা পড়াশোনার বিষয় নির্ধারণ করে দেয় না; বরং সে নিজেই পছন্দ ক’রে নেয়।


নারীর প্রকৃতি আজীবন একই রকম, তাদের কোন আমূল পরিবর্তন নেই। পুরুষদের অলসতা ও ব্যর্থতা হল… তারা নারীত্বের রহস্য না জেনেই নারী’র দেহ নেশায় মত্ত হয়। অবশেষে পুরুষ তার পৌরুষের চরম ব্যর্থতাকে ঢাকতে গিয়ে নারী’র প্রকৃতির বিপরীতে ছলনার কাব্য রচনা করে। যা নারী’কে কোনভাবেই ভাবিয়ে তুলার বিষয় নয়। গুরুজী বলেছেন- “যারা নারী’কে ছলনাময়ী বলে কাব্য রচনা করে, তারা সাহিত্যিক নামের গর্ধভ”।


একজন আমাকে প্রশ্ন করল- তথাকথিত নারীদের উলঙ্গপ্রায় পোষাক এবং চলাফেরার বিষয়ে। আমি বললাম তার দোষ- পুরুষেরই, তিনি আবার প্রশ্ন করলেন- আমি বললাম- দোষ পুরুষেরই, শেষ পর্যন্ত তিনি নারীদের দোষ দেয়ার জন্য পরিমল নামের কা-পুরুষের উদাহরণ দিয়ে বসলেন। তিনি বুঝলেন না…. নারী’দের কোন রূপ নাই, গুণ নাই, দোষ নাই, পছন্দ-অপছন্দ কিছুই নেই। স্বাধীণ যে কোন প্রাণীর নিজস্ব পছন্দ থাকে কিন্তু অধীণ প্রাণীদের পছন্দ হল- অধীনস্থের পছন্দই তার পছন্দ। তা ছাড়া তার আর কোন চাকরী নেই। আমি হলফ করে বলতে পারি… পুরুষকে খুশি করা ছাড়া নারী’র আর কোন পরিকল্পনাই নেই। তাহলে কেন পুরুষরা শুধু শুধু বিভ্রান্ত হবে? রহস্য এই……


রহস্য-১:: নারী কখনো নিজেকে সুন্দরী হিসেবে ১০০ ভাগ বিশ্বাস করে না। যখন কোন পুরুষ তাকে সুন্দর বলে… তখনই তার মনে কিছুটা বিশ্বাস জন্মে, আমি মনে হয় সুন্দরী। তারও অনেক পরে যখন তার জন্য দুইজন পুরুষ দুই দিকে তাকে পাবার জন্য যুদ্ধ করে… তখন সে বুঝতে পারে আমি আসলেই সুন্দরী। নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে নারী নিশ্চিত হওয়া আদৌ মঙ্গলজনক নয়, কারণ তা তার মনকে ধ্বংস করে। আগে সে নিজেকে প্রস্তুত করত কোন একজন পুরুষের পছন্দনীয় হওয়ার জন্য। এখন সে নিজের যোগ্য সুপুরুষের খোজে কোথাও স্থির হতে পারবে না। পুরুষের সাথে পুরুষের তুলনা করা তার স্বভাবে পরিণত হবে।


রহস্য-২:: নারী নিজের মনকে সবসময় প্রশ্ন করে, আমি কেমন ভাবে সাজগোজ করলে কোন সুপুরুষ আমাকে পছন্দ করবে, আমার দিকে দ্রুতবেগে ছুটে আসবে? কারণ, কেন জানি নারী মনে করে সে আসলে সুন্দরী না, বরং কোন বিশেষ আচরণ অথবা অঙ্গভঙ্গীতে তাকে সুন্দর দেখাতে পারে। সুতরাং সে লেগে যায় নিজেকে তৈরীর যুদ্ধে….। সে যখন কোন হলিউড, বলিউড অথবা ডালিউড ছবি দেখে তখন সে খুব ভাল করে খেয়াল করে… নায়িকার কোন্‌ কথা, অঙ্গভঙ্গী, পোষাক, আচরণ দ্বারা মুগ্ধ হয়ে নায়ক তার জন্য পাগল হয় এবং মারামারি পর্যন্ত করে। নারী পরবর্তীতে ছবি’র সেই দৃশ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে চায় এবং আসলেই সে ভেবে বসে…. আমাকে তাই বলতে হবে, যা “রাণী মুখার্জী” (ছবির সম্ভাব্য নায়িকা) বলে, আমাকে সেই পোষাকই পড়তে হবে, যা নায়িকা প্রিয়াংকা চোপড়া পড়ে…. ইত্যাদি ইত্যাদি। যেই কথা সেই কাজ…. সে নিজেকে বদলে ফেলে। আর এদিকে ঠিকই পুরুষ নারীর প্রতি তার স্বভাবজাত প্রসংসা ছুড়ে মারে যা নারীর তখনকার পরিস্থিতির জন্য খুবই উৎসাহমুলক। আর এদিকে নারী অতিমাত্রায় নিশ্চিত (Confirmed) হয় যে, আমাকে এখন আগের চেয়ে সুন্দর দেখাচ্ছে। এভাবে সে নিজেকে পোষাক (উলঙ্গপ্রায়) দ্বারা উপস্থাপনা করতে কোন দ্বিধাবোধ করে না।


নারী তার সৌন্দর্যের নকল শিক্ষাটি পায় বিভিন্ন চলচ্চিত্র থেকে…… অথচ আসল শিক্ষাটি পাওয়া উচিত ছিল একজন পুরুষের কাছ থেকে। যার দরূণ পুরুষ নারীকে শিক্ষা দেয়ার আগেই পুরুষ নিজে উচিত শিক্ষা পেয়ে যায় এবং কাপুরুষের খাতায় নাম লেখায়। এভাবেই পুরুষ কখনো নারী বিদ্বেষী, কখনো মাস্তান আবার কখনো ধর্ষনকারী হিসেবে সমাজে পরিচিত হয়।


পুরুষ চাইলে, নারী পর্দার আড়াল থেকেই তাকে ভালবাসবে, তার জন্য পুরুষকে বেশি তেল পোড়াতে হবে না। শুধু নারীকে জানানো উচিত (উদাহরণ স্বরূপ) ”তোমাকে পর্দার ভেতরে খুব সুন্দর দেখায়” আমি ছাড়া অন্য কেউ তোমার সৌন্দর্য রহস্য জানুক তা আমি চাইনা”।


এস.এম.জাকির হুসাইনের লেখা “নারীর মন” বইটি একজন পুরুষের পক্ষে নারীকে বুঝার জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। তবে অধিকাংশরাই বইটি বুঝবে কিনা সন্দেহ…. কারণ বাজারে ঐ ধরণের বই অতীতে চোখে পড়েনি। তবে সাধনা করলে বইটি বুঝা সহজ হবে।


সুলতান আহমাদ।

কক্সবাজার-২৩ জুলাই-২০১১ইং


মন্তব্য লিখুন

একই বিভাগে আরও

আত্মজ্ঞানের ভূমিকা – ২

আত্মজ্ঞানের ভূমিকা – ১

আল-কোরআনের অজানা রহস্য – ২

ভালোবাসার শানে নুজুল

আরও পড়ুন

ফেব্রুয়ারি ২৯ ২০২৪

আত্মজ্ঞানের ভূমিকা – ২

ফেব্রুয়ারি ২৯ ২০২৪

আত্মজ্ঞানের ভূমিকা – ১

ফেব্রুয়ারি ২৭ ২০২৪

Instant Writing Techniques 1

ফেব্রুয়ারি ২২ ২০২৪

আল-কোরআনের অজানা রহস্য – ২

ফেব্রুয়ারি ১৫ ২০২৪

আল-কুরআন এর অজানা রহস্য – ১